তরমুজ চাষের সহজ পদ্ধতি | তরমুজ চাষ পদ্ধতি, Watermelon cultivation method, tormuj chas
আস্সালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক আশা করি সবাই ভালো আছেন। তো বন্ধু আপনি যদি তরমুজ চাষ করতে চান তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য। এই পোষ্টে বিস্তারিত ভাবে বুঝানো হয়েছে কিভাবে আপনি বাজার থেকে ক্রয় করা তরমুজ থেকে বীজ সংগ্রহ করে সেই বীজ থেকে পরিপক্ক তরমুজ চারা উৎপাদন করতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক....
watermelon cultivation in bangladesh
তরমুজের বীজ থেকে চারা তৈরি
আপনি যখন বাজার থেকে তরমুজ ক্রয় করবেন তখন একটু পরিপক্ক তরমুজ কিনলে ভালো হয়, পরিপক্ক তরমুজ চেনা খুবই সহজ যে তরমুজটির গায়ে সাদাসে দাগের মত দেখা যায় ওই তরমুজ বেশী পরিপক্ক আপনি এমনই একটি তরমুজ ক্রয় করবেন।
তরমুজ চাষ
tormuj chas
Watermelon cultivation method
এবার আপনার তরমুজ থেকে বীজ সংগ্রহ করার ধাপ, প্রথমে তরমুজটির লম্বা ভেবে কেটে নিন, আপনি যদি দেখেন তরমুজটির ভিতরে একটু বালি বালি ভাব দেখা যায় তাহলে বুজবেন এই বীজ থেকে পরিপক্ক এবং মানসম্মত চারা পাওয়া যাবে। তারপর আপনি এই তরমুজ বীজ গুলো ধীরে সংগ্রহ করুন। এবার এই বীজ গুলো পুরো একদিন ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। তারপর এই বীজ গুলো জারমিনেশন করতে হবে।
টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি
বীজ থেকে চারা তৈরি করতে যা প্রয়োজন হবে
তরমুজ বীজ থেকে চারা তৈরি করতে প্রয়োজন হবে সমপরিমাণ জৈব সার বা গোবর সার এবং সমপরিমাণ মাটি আপনি আর্দশ্য মাটি ব্যবহার করতে পারেন। বীজ বপনে টবে জৈব সার এবং মাটি দিয়ে ভরাট করে নিন কিন্তু টবে চেপে চেপে মাটি ভরাট করা যাবে না, কিছুটা আগলা থাকবে। তারপর এই টবে বীজ বপন করতে হবে।
তরমুজ চাষ কিভাবে করা হয়
টবে বীজ বপন করার নিয়ম
দুইটি পদ্ধতিতে বীজ বপন করা যায়, প্রথমে বীজের মুখের অংশ নিচের দিকে পুতে বপন করা যায়।
দ্বিতীয়ত বীজ শুইয়ে বপন করা যায়। আপনি এই দুইটি পদ্ধতি বীজ বপন করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় বীজ শুইয়ে দিলে। আপনার টবের আকার অনুযায়ী ৩-৫ টি তরমুজ বীজ বপন করতে পারেন। আপনার বীজ বপন হয়ে গেলে বীজের উপর থেকে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং টবে কিছুটা পানি প্রয়োগ করতে হবে। আপনার মাটিটা যদি ভেজা থাকে তাহলে অল্প পরিমান পানি প্রয়োগ করবেন। আর শুকনা থাকলে একটু বেশী পরিমান পানি প্রয়োগ করতে হবে। পানি প্রয়োগ হয়ে গেলে এই টবের উপরের অংশটা ঢেকে রাখতে হবে আপনি পলিথিন ব্যবহার করতে পারেন।
তরমুজ চারা তৈরি
এর পাঁচদিন পর দেখতে পাবেন আপনার সকল বীজ থেকে চারা তৈরি হয়েছে। আপনি এই পদ্ধতিতে বাজার থেকে ক্রয় করা তরমুজ বীজ থেকে খুব সহজেই চারা উৎপাদন করতে পারবেন। তারপর এই চারা বড়ো হয়ে গেলে আপনি টবে বা মাটিতে রপন করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় মাটিতে রপন করলে। তরমুজ চাষ করতে উপরে অবশ্যই ভারা তৈরি করতে হবে। ভারাতে তরমুজের ফলন ভালো হয় এবং মাটিতেও তরমুজ ভাল হয়।
যখন আপনার তরমুজ গাছ বড়ো হতে থাকবে তখন গাছের নিচে শুকনা পাতা দেখতে পাবেন এই পাতা গুলো কেটে দিতে হবে। কারন এই পাতার কোনো প্রয়োজন নেই, উপরের দিকের পাতা যেনো বেড়ে উঠে সেই দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এবং পাতার গোড়া থেকে নতুন লতা বের হলো সেগুলোও কে কেটে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এই পাতা গুলো অযথা গাছের খাদ্য সংগ্রহ করবে তাই এই পাতা গুলো কেটে দিতে হবে। তাহলে গাছের ফল খুবই ভাল হবে। সর্বদা নজর রেখে গাছের গোড়ার দিকে পরিস্কার পরিচন্ন রাখতে হবে এবং গোড়ার দিকের যে পাতা গুলো আছে সেইগুলো ছেটে দিতে হবে।
তরমুজ গাছের রোগ বালাই
তরমুজ গাছে পাতা খননকারী পোকার এ্যাটাক হয় খুবই বেশী এজন্য যেকোন একটি কীটনাশক স্প্রে করবেন। প্রয়োজনে নীম তেলের স্প্রে করতে পারেন তাহলে এধরনের সমস্যা আর দেখা যাবে না।
পরিশেষে তরমুজ গাছের সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে আপনি অবশ্যই ফল ধরাতে সক্ষম হবেন এবং প্রচুর পরিমানের ফল পাবেন একটি মাত্র গাছ থেকেই।
ধন্যবাদ। আপনার সফলতা কামনা করছি।