গরুর মাংস রান্না করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি, নতুন স্বাদে ২ কেজি গরুর মাংস রান্নার রেসিপি

 আস্সালামু আলাইকুম প্রিয় দর্শক আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকের আর্টিকেলে থাকছে খুব সহজে ধারুন স্বাদে গরুর মাংস রান্না করার নিয়ম, যারা নতুন রাঁধুনি তারা এই নিয়মে খুব সহজেই গরুর মাংস রান্না করতে পারবেন। এভাবে আপনি আপনার পরিবার বা প্রিয়জনকে গরুর মাংস রান্না করে খাওয়ালে সবাই আপনার ভক্ত হয়ে যাবে।

গরুর মাংস ছবি



গরুর মাংস রান্না করার সহজ রেসিপি

২ কেজি গরুর মাংস রান্নার নিয়ম

মাংস রান্নার রেসিপি

এখন আমি যে উপকরন টা বলব সেইটা ২ কেজি গরুর মাংস রান্না করার জন্য। আপনি যদি ২ কেজি গরুর মাংস রান্না করেন তাহলে এখানে বলা উপকরন অনুপাতে নিতে পারেন। আর আপনি যদি ২ কেজি গরুর মাংস থেকে কম বা বেশি রান্না করতে চান তবে এখানে বলা ২ কেজি গরুর মাংস রান্না করার উপকরনের সাথে মিল রেখে পরিমান মত নিবেন।

২ কেজি গরুর মাংস রান্নার রেসিপি

গরুর গোস্ত রান্না

সুস্বাদু গরুর মাংস রান্না

কুরবানির গরুর মাংস রান্না করার নিয়ম

প্রথমে আপনার পাতিলটা গরম করে নেন, তারপর পাতিলে হাফ কাপ বা ১২০ এমএল সয়াবিন তেল দিন, এরপর দুইশো গ্রাম কাচা পেয়াজ কুচানো দিন, তারপর পেয়াজ গুলোকে তেলের সাথে হালকা ভেজে নিন, যখন দেখবেন পেয়াজ গুলো হালকা একটু কালার পরিবর্তন হয়েছে তখন দিবেন, দেড় টেবিল চামচ আদা বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা এরপর পেয়াজ ও তেলের সাথে আদা বাটা এবং রসুন বাটা টা একটু ভেজে নিতে হবে।

ভাজা শেষ হলে এক টেবিল চামচ জিরার গুড়া, এক টেবিল চামচ এর থেকে একটু কম ধনিয়া গুড়া, এক টেবিল চামচ হলুদের গুড়া, দেড় টেবিল চামচ শুকনা মরিচের গুড়া, জ্বালটা আপনাদের পরিমান মত দিবেন। এরপর উপদান গুলো মিক্সার করে এক কাপ পানি দিয়ে দিবেন যেন পুড়ে না যায়। তারপর পরিমান মত লবন দিয়ে মসলা গুলো খুব ভালো মত কসিয়ে নিবেন। কিছু সময় পর যখন দেখবেন মসলা গুলো তেল ছেড়ে দিয়েছে। তখন বুঝবেন মসলা গুলো খুব ভাল মত কসানো হয়ে গিয়েছে।

গরুর মাংস রান্না করার নিয়ম

গরুর মাংস রান্নার রেসিপি

এবার এই পর্যায় আরো কিছু মসলা দিতে হবে। যেগুলো গুড়া করে দিলে ভাল হয়।

মসলার তালিকাঃ

৮-১০ টা লবঙ্গ, ৭-৮ ইলাচ, এক চা চামচ কালো গোল মরিচ, একটা জয় ফল এবং জয় থ্রিট চার ভাগের এক ভাগ করে, ৬-৭ পিচ দারুচিনি এটা একটু বেশী দিয়া হচ্ছে। দারুচিনি বেশী দিয়ার কারন শেষে জানতে পারবেন।

এবার সবগুলো মসল একত্রে গুড়ো করে নিন, তারপর এর অর্ধেকটা পাতিলের মসলার সাথে মিক্সর করে নিন। বাকি অর্ধেকটা পরে ব্যবহার করবেন।

মসলা গুলো মিক্সার হয়ে গেলে এবার মাংস গুলো পাতিলে ঢেলে নিন, মাংসগুলো অবশ্যই আগে ধুয়ে নিবেন। মাংসগুলো মসলার সাথে খুব ভালো করে মিক্সার করে নিন, মসলার সাথে মাংস গুলো মিশানো হয়ে গেলে পাতিলের ঢাকনা টা দিয়ে প্রথম দশ মিনিট হাই হিটে রান্না করে নিন। এর মাঝে ২-১ বার মাংস গুলো নাড়িয়ে দিতে পারেন।


এরপর দেখবেন মাংস গুলো পানি ছেড়ে দিয়েছে তখন আবার মাংস গুলো কিছুটা নাড়িয়ে দিন। মাংস গুলো ভাল মত সিদ্ধ করতে এখন ১-২ লিটার পানি দিতে হবে, তবে অবশ্যই গরম পানি দিবেন। মাংসে কখনো ঠান্ডা পানি দিবেন না, ঠান্ডা পানি দিলে মাংসটা আবার কাঁচা হয়ে উঠবে আর ফলাফল স্বরুপ মাংসের স্বাদটা চলে যাবে। তাই কখনো মাংস রান্না করার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করবেন না।


মাংসে গরম পানি দিয়া হয়ে গেলে পাতিল ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। আর চুলার তাপটা এই পর্যায় মিডিয়াম রেখে ২০ মিনিট রেখে দিন। মাংস টা ২০ মিনিটি রান্না হয়ে গেলে আগের অবশিষ্ট থাকা অর্ধেক গুড়া মসলা মাংসের সাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাংস রান্নার শেষের দিকে এই অর্ধেক মসলা দিয়াতে মাংসে একটা অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। আর দারুচিনিটা বেশী নিয়ে ছিলাম কারন গরুর মাংসে দারুচিনি টা বেশী দিলে একটা দারুন ফ্লেবার আসে। 

দারুচিনি বেশি দিয়ে গরুর মাংস রান্না করে যারা খেয়েছেন তার তো জানেন আর যারা এভাবে রান্না করে খান নাই তারা একবার রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন, স্বাদে মুখ ফেরাতে পারবেন না।


এবার মাংসের উপর হাফ কাপের মত পেয়াজের প্রেস্তা গুড়া করে চিটিয়ে দিন, এটা দিয়া হয়ে গেল মাংস গুলো আরেকবার নেড়ে নিন। নাড়া হয়ে গেলে মাংসর পাতিলটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে চুলার তাপ টাকে একদম লো হিটে ৫ মিনিট রান্নার জন্য দমে রেখে দিন।

৫ মিনিট শেষে আপনার মাংসর কাছে ফিরুন, দেখতে পারবেন কি রকম কালার হয়েছে সাথে অসাধারন স্বাদ তো রয়েছে।



এবার এই এভাবে গরুর মাংস রান্নাটা সাদা ভাত, পোলাও বা খিচুড়ির সাথে খেয়ে দেখুন স্বাদে মুখ ফেরাতে পারবেন না, আর এই পদ্ধতিতে আপনার গরুর মাংস যাখে খাওয়াবেন সে আপনার ভক্ত হয়ে যাবে। ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Admin
    Admin July 12, 2022 at 7:27 AM

    Thank You

Add Comment
comment url